আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস গ্যাসের নামে চাঁদাবাজি

সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস

সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাস গ্যাসের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকার কয়েক ব্যাক্তির নামে। এতে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ই মে সিদ্ধিরগঞ্জের দক্ষিণ মিজমিজি এলাকায় কাজ করছিলো ডিএনডি প্রজেক্ট উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর একটি দল। এসময় ওই এলাকায় পানি নিস্কাশনের জন্য খাল পরিস্কারের কাজ করা হচ্ছিলো এস্কেভেটরের সাহায্যে (ভেকু)। এসময় ওই খালের ভিতর থাকা তিতাস গ্যাসের দুই ইঞ্চি একটি আবাসিক বিতরণ লাইন ফেটে যায় এস্কেভেটরের ধাক্কায়। তাৎক্ষনিক সেনাবাহীনি ওই পরিচ্ছন্ন কাজ বন্ধ রেখে তিতাস গ্যাসকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে সন্ধ্যায় ওই লাইনটির সংস্কার কাজের জন্য তিতাস গ্যাস নারায়নগঞ্জ কার্যালয় থেকে একটি জরুরী টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করে। কিন্তু এসময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি কাজটিতে বাঁধা প্রদান করেন। পরে তিতাস গ্যাসের লোকজন রাত হয়ে যাওয়ায় কাজ না করে চলে আসে। এরপর মিজমিজি দক্ষিণ পাড়া এলাকার মাইচ্ছা বাবুল এবং পিডিবির অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী আলতাফ হোসেন ওই এলাকার ৮৭টি রাইজারের মালিকের কাছ থেকে এক হাজার করে টাকা করে চাঁদা আদায় করে তিতাস গ্যাসের ওই জরুরী টিমের নামে।
বিষয়টি জানতে সরেজমিনে ওই এলাকায় কয়েক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, সেনাবাহিনী কাজ করতে গিয়ে গ্যাসের সংযোগ লাইনের সমস্যা হয়েছে। এটা সেনাবাহিনী এবং তিতাস গ্যাস কোম্পানি বুঝবে। কিন্তু এখানে তাদের নাম করে টাকা কালেকশন করা হয়েছে কেনো আমরা তা জানিনা। এখানে ৮৭টি রাইজারের মালিক থেকে এক হাজার করে টাকা উঠানো হয়েছে। মাইচ্ছা বাবুল এবং আলতাফ হোসেন এই টাকা তুলেছে তিতাস গ্যাসের নাম করে। তারা বলেছে তিতাস গ্যাসকে টাকা না দিলে তারা কাজ করবে না।
এ বিষয়ে জানতে মাইচ্ছা বাবুলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এক হাজার করে টাকা তুলেছি এটা মিথ্যা কথ্যা। তিতাস গ্যাসের লোকজন কাজ করতে এসেছে তাদের খরচ হিসেবে কারো কাছ থেকে দুইশত কারো কাছ থেকে একশত করে টাকা নিয়েছি। একহাজার করে টাকা তোলার কথাটি সত্য নয়।
এ বিষয়ে আলতাফ হোসেনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হয়ে তাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।
তিতাস গ্যাসের জরুরী টিমকে টাকা প্রদানের বিষয়ে নারায়নগঞ্জ তিতাস অফিসের ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিএমটি) জয়নাল আবেদিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তাহলে প্রমান নিয়ে আসেন। আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে সাধারণ মানুষদেরও সচেতন হতে হবে। তিতাস গ্যাসের কোন সমস্যা হলে তিতাস গ্যাস নিজ খরচে তা সমাধান করবে। এখানে সাধারণ মানুষের কাজ থেকে কোন ধরনের টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই।